Ads (728x90)

যুদ্ধাপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নতুন আবেদনের অনুমতি দেয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন এটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলমসহ রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবীরা।
সাকা চৌধুরীর পক্ষ থেকে সোমবার সর্বোচ্চ আদালতে আটজন সাক্ষির সাক্ষ্য দেয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবীরা এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

এটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, এটি সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ার। তবে যদি তার এই আবেদন বিবেচনায় নেয়া হয়, তা হলে একটির পর একটি এ ধরনের আবেদন হতে থাকবে। তিনি ট্রাইব্যুনাল এবং সুপ্রিম কোটের আপিল বিভাগে তার বিচারের সময় ভিন্ন ধরনের ডক্যুমেন্ট জমা দিয়েছেন।
মাহবুবে আলম বলেন, ফৌজদারি মামলায় এ ধরনের রিভিউ এর সুযোগ কমই আছে। আদালত কোন ভুল করে থাকলে শুধুমাত্র এ ধরনের সুযোগ পেতে পারে। তিনি রিভিউ পিটিশনের সময়সীমা অতিবাহিত হবার পর নতুন করে আবেদন করতে পারেন। এই আবেদন বিবেচনা করা হলে একটি বিশৃংখলা সৃষ্টি হবে।
রাষ্ট্র পক্ষের অপর আইনজীবী ব্যারিস্টার তুরীন আফরোজ বলেন, এ ধরনের আবেদনের উদ্দেশ্য হচ্ছে আদালতের রায়ে হতাশা হওয়া। রিভিউ’র পর্যায়ে এসে সাক্ষিদের তলব করার কোন সুযোগ নেই। যদিও এটি সম্পূর্ণ উচ্চ আদালতে ব্যাপার। তারা এ ধরনের আবেদন কেন আগে করে নাই।
তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালে পাঁচজন সাক্ষীকে হাজির করার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা সে সময়ে তাদেরকে হাজির করতে পারেনি।
তুরিন বলেন, বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ করতে তারা এভাবে হীন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আইন অনুযায়ি, মামলার বাদি ও বিবাদি উভয় পক্ষ তিন সপ্তাহের মধ্যে আদালতে তাদের সাক্ষীর নামের তালিকা জমা দেবে।
রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী বলেন, সালাউদ্দিন ৪ হাজার ৫শ’ জনের একটি তালিকা জমা দেন। এদের মধ্যে কয়েক জনের নাম ১০৫ বারের অধিকবার উল্লেখ করা হয়। আদালত তাকে আরো সময় দিয়েছে গ্রহনযোগ্য সাক্ষিদের একটি তালিকা জমা দিতে। প্রথমে তারা বলেছে, তারা ৪০ জন সাক্ষির তালিকা দেবে। অথচ দিয়েছে মাত্র ১৫ জনের নাম। তালিকা থেকে আদালত ৫ জনকে আদালতে হাজির করার অনুমতি দেয়। অথচ তারা এই পাঁচ জনকেও আদালতে হাজির করতে ব্যর্থ হয়।
তিনি আরও বলেন, তারা সাক্ষিদের নতুন তালিকা থেকে দু’একজনকেও হাজির করতে পারত। অথচ তারা সেটি করেনি। এখন তারা শুধুমাত্র বিচার প্রক্রিয়া ভন্ডুল করার হীন যড়যন্ত্রে এটি করছে।
প্রসঙ্গত, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী তার রিভিউ শুনানিকে তার পক্ষে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য আটজন নতুন সাক্ষিকে ডাকতে সোমবার আদালতে একটি আবেদন করেছেন।
এই আটজন হলেন, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মোহম্মদ মিয়া সুমরো , পাকিস্তানের সাবেক রেলমন্ত্রী ইসহাক খান খাকাওয়ানী, পাকিস্তানের ডন গ্রুপের চেয়ারম্যান আম্বর হারুন যাইগাল, পাকিস্তানের সমাজকর্মী মুনিব আরজুমান্দ, ভিগারুননিসা নুনের নাতি রিয়াজ আহমেদ নুন, মার্কিন কূটনীতিক ওসমান সিদ্দিক, বাংলাদেশ হাইকোর্টের বিচারক বিচারপতি মামিম হাসনাইন এবং তার মা জিন্নাত আরা বেগম।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন