বাস চালক-মালিকদের আপত্তি থাকলেও সড়ক-মহাসড়কে সবকিছু নিয়মতান্ত্রিক করতে বিআরটিএর অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, “কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অতিরিক্ত ভাড়ার বিরুদ্ধে, ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে, লাইসেন্সবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে, নসিমন-করিমনের বিরুদ্ধে, জাতীয় মহাসড়কে অটোরিকশার বিরুদ্ধে বিআরটিএর অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
মঙ্গলবার রাজধানীর তেঁজগাওয়ের এলেনবাড়িতে বিআরটিএ কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্যে এই কথা বলেন মন্ত্রী।
আরো পড়তে পারেনঃ শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে হাফ ভাড়া নেয়ার নির্দেশ মন্ত্রীর
এর তিন দিন আগেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানার প্রতিবাদে রাজধানীর সড়ক অবরোধ করে বাস শ্রমিকরা। এতে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।
অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ন্ত্রণে কেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাজ করতে হবে- পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলোর প্রতি প্রশ্ন রাখেন মন্ত্রী।
“সরকার মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করে ভাড়া নির্ধারণ করেছে। তাহলে বাড়তি ভাড়া কেন নেওয়া হবে? অতিরিক্ত ভাড়ার জন্য আমাদের মোবাইল কোর্ট দিতে হবে কেন?”
তবে চালকদের সবসময় দোষারোপ না করতেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী বিআরটিএর ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রতি নির্দেশ দেন সড়কমন্ত্রী।
“কাউন্টার থেকে বেশি ভাড়া নিলে মালিক আর গাড়ি থেকে বাড়তি ভাড়া নিলে ড্রাইভার দায়ী। নিয়ম অনুযায়ী সব চলবে, নিয়মের বাইরে কিছু হবে না।”
প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় ২১ হাজার লোক মারা যায় বলে একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের নির্ভরযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
“প্রতিদিন গড়ে ১০ জন মারা গেলেও বছর শেষে তা দাঁড়ায় ৩ হাজার ৬৫০ জন। পুলিশ প্রতিবেদনে রয়েছে ৭ জন (প্রতিদিন), আমি এটাকে ১০ও যদি বলি… । এর বেশি তো বাংলাদেশে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হওয়ার কথা নয়।”
গাড়ি চালনায় নারীরা এলে দুর্ঘটনা কমবে বলে নিজের অভিমত প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের।
মোটর সাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ফি কমাতে অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন বলেও জানান তিনি।
বিআরটিএতে আগের চেয়ে দুর্নীতি কমেছে বলে মনে করেন মন্ত্রী। তবে তিনি বলেন, “যতটা কমার কথা কমেনি।”
১ নভেম্বর থেকে সিএনজি অটোরিকশা মিটারে চলাচল করবে ঘোষণা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, “প্রাইভেট সিএনজি মালিকানায় পুলিশ যুক্ত থাকলে তা তদন্ত করে দেখা হবে।”
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন