২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পেছনে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে বিষয়ে তার কোনো সন্দেহ নেই বলেও জানিয়েছেন।
শুক্রবার বিকেলে ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে নির্মিত অস্থায়ী বেদীতে ওই হামলায় নিহতদের শ্রদ্ধা জানানোর পর আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, ১৫ আগস্টের ঘটনার সাথে জিয়া যেমন জড়িত ছিল, ২১ আগস্টের ঘটনার সাথে খালেদা জিয়া ও তার ছেলে জড়িত।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী জনসভায় ওই হামলায় ২৪ জন নিহত হন। তখনকার বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার শ্রবণেন্দ্রীয় ওই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সেদিনের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেদিন আমরা সন্ত্রাসবিরোধী র্যালি করতে গিয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হই। যে গ্রেনেড যুদ্ধে ব্যবহার হয়, সেই গ্রেনেড আমাদের সভায় ছুড়ে মেরে হত্যা করা হয়।
সেই হামলায় কেন্দ্রীয় নেত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। গ্রেনেডের স্প্লিন্টারবিদ্ধ হয়ে পঙ্গু হন অনেকে।
নিহতদের স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, কয়েকশ নেতাকর্মী আহত হয়। আমার সামনে অনেকে রয়েছে, আমার সাথে অনেকে আছে। যারা এখনো সেই স্প্লিন্টার নিয়ে চলছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার পর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পৌঁছে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। পরে দলের পক্ষ থেকে নেতাদের নিয়ে আবারও ফুল দেন।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং সবাই মোনাজাতে অংশ নেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাহারা খাতুন, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দীলিপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী এসময় আরও বলেন, তখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। আলামত রক্ষা করা তো দূরের কথা, আলামত নষ্ট করে। সিটি করপোরেশনের গাড়ি এনে আলামত দ্রুত নষ্ট করে। দুটো গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়নি, সেগুলো সংরক্ষণ না করে নষ্ট করে দেয়।
২০১১ সালে সিআইডি এ মামলায় যে সম্পূরক অভিযোগপত্র দিয়েছে, তাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানকেও আসামি করা হয়েছে।
অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে ২১ আগস্টের হামলার ‘সুষ্ঠু তদন্ত’ দাবি করে আসছে বিএনপি
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন