Ads (728x90)

DU-1
জাতীয় বেতন কাঠামোয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন না বাড়ালে সচিবালয়ের ভাড়া দিতে হবে। এমনটাই দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর আক্তার হোসেন খান। রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এক মানববন্ধনে তিনি এ দাবি করেন।

প্রফেসর আক্তার বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত মিন্টু রোড ও সচিবালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গার উপর অবস্থিত। আর এ সচিবালয়ে বসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর বৈষম্য করা হচ্ছে। যদি জাতীয় বেতন কাঠামোয় শিক্ষকদেরকে বঞ্চিত করা হয় তাহলে প্রতি মাসে বিশ্ববিদ্যালয়কে সচিবালয়ের ভাড়া দিতে হবে।
প্রস্তাবিত বৈষম্যমূলক জাতীয় বেতন কাঠামো প্রত্যাখ্যান এবং পুনঃনির্ধারণের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন বলেন, জাতীয় বেতন কাঠামোয় ফরাস উদ্দিন কমিশন যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য সতন্ত্র বেতন কাঠামোর আওতা ভুক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, সরকারের আমলারা পদে পদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে অপমানিত করছে। আমরা অনেক সুযোগ দিয়েছি। অনেক ভদ্রতা দেখিয়েছি। যে কারণে ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য মানববন্ধন করতে হচ্ছে। শিক্ষকদের এ ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবো না। প্রয়োজনে বাংলাদেশ ৩৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
DU
প্রফেসর রেজাউল হক বলেন, যে পাচঁজন সচিব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে তাদেরকে অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে হবে। যদি ক্ষমা না চায় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের সদন বাতিল করার জন্য সুপারিশ করা হবে।

ক্রিমিনলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর জিয়াউর রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আগে সরকারের এই আমলারা পাকিস্তানের দালাল ছিলো এখনও তারা পাকিস্তানের সেবা করে যাচ্ছে।
টেলিভিশন এ্যান্ড ফিল্ম স্ট্যাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর শফিউল আলম ভূঁইয়া বলেন, বর্তমানে বেতন কাঠামো আমাদেরকে অপমানিত করেছে। এর মাধ্যমে ফরাশ উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চলবে।
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর মেসবাহ কামাল বলেন, আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে একজন প্রফেসরের বেতন ১ লাখ ৩৫ হাজার রুপী। আর একজন সচিবের বেতন সর্বোচ্চ ৯০ হাজার টাকা। সেখানে ৫ শতাধিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। যে কারণে ভারত দিন দিন উন্নত হচ্ছে। আর আমাদেরকে ন্যায্য বেতন কাঠামো থেকে বঞ্চিত করছে।
মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. এম এম মাকছুদ কামালের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর আক্তারুজ্জামান, ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর মুনতাসির মামুন, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর আনোয়ার হোসেন, সিন্ডিকেট সদস্য লুৎফর রহমান, অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর এম এম আকাশ, প্রফেসর কাজী শহিদুল্লাহ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর গোলাম রব্বানি, প্রফেসর নাজমা শাহিন প্রমুখ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন