সমুদ্রসীমায় সম্পদ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ জলসীমার নিরাপত্তায় নৌ-বাহিনীকে আরও আধুনিক ও সুসজ্জিত বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার দুপুরে খুলনা শিপইয়ার্ডে বৃহৎ দুটো যুদ্ধজাহাজের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী দেড় বছরের মধ্যে জাহাজ দু'টির কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
এ সময় নৌ-কল্যাণ নামের আরও একটি পৃথক কনটেইনার জাহাজও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন- যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণের মধ্য দিয়ে খুলনা শিপইয়ার্ডের পাশাপাশি বাংলাদেশ সম্ভাবনার নতুন দুয়ারে পৌঁছালো। আর বিদেশ নির্ভরতা নয়; বরং দেশের চাহিদা মিটিয়ে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে তৈরি জাহাজ রপ্তানি করার প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তিনি।
এখন থেকে সরকার আর কোনো রুগ্ন বা বন্ধ হয়ে যাওয়া শিল্প 'ব্যক্তিমালিকানা খাতে' দেবে না বলেও ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে, সমুদ্রসীমায় সম্পদ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ জলসীমার নিরাপত্তায় নৌ-বাহিনীকে আরও আধুনিক ও সুসজ্জিত বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিন সকালে খুলনার মংলায় দিগরাজ নৌ-জেটিতে দেশে নির্মিত প্রথম তেলবাহী জাহাজ- খান জাহান আলী ও ২টি ল্যান্ডিং ক্র্যাফট ইউটিলিটি জাহাজ এর নৌ-বাহিনীতে সংযুক্তিকরণ অনুষ্ঠানে এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
বেলা সাড়ে ১১টার কিছু পরেই তেলবাহী এই জাহাজটিকে নৌ-বাহিনীতে সংযুক্ত বা কমিশনিং করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে সংযুক্ত করেন ২টি লার্জ ট্যাংকার ক্রাফ্ট, এলটিসি-১০৩ ও এলটিসি-১০৫।
ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী, প্রতিবছরই বাহিনীতে যোগ হচ্ছে নিরাপত্তার নানা অনুষঙ্গ। বিদেশি বিভিন্ন ধরনের নৌযানের পাশাপাশি এবারই প্রথমবারের মতো নৌবাহিনীতে যোগ হলো বাংলাদেশে নির্মিত তেলবাহী জাহাজ- খান জাহান আলীর।
অত্যাধুনিক এসব নৌ-যানের সংযুক্তকরণ শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন- সমুদ্রসীমায় সম্পদ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নৌ-বাহিনীকে আরও আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর বর্তমান সরকার।
এ সময়, নৌবাহিনীকে আগামীতে একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে এ বছরের শেষ নাগাদ যুক্তরাষ্ট্র ও চীন থেকে আরও তিনটি নৌযান বহরে যুক্ত হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন