সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে ফেনীর সোনাগাজীতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের ডাকবাংলা এলাকায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মঙ্গলকান্দি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লা আল মামুন সহ তিন জনকে কুপিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষ যুবলীগ নেতাকর্মীরা।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মঙ্গলকান্দি ইউনের মেম্বার বাদল গ্রুপের সাথে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন দরদী গ্রুপের বিরোধ চলে আসছিল। গত ৪ মাস পূর্বে বক্তারমুন্সি বাজারের ইজারার ৭ লাখ টাকা বন্টন নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে নতুন করে বিরোধ শুরু হয়। ইজারার টাকা আত্বসাতের চেষ্টা করলে দরদি গ্রুপের স্থানীয় যুবলীগ নেতা পিসি মিজান প্রতিবাদ করে। এর কিছুদিন পর পিসি মিজানের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। দরদীর গ্রুপের অভিযোগ বাদল পরিকল্পিতভাবে পিসি মিজানকে হত্যা করেছে। এ মৃত্যুর পরেই উভয় গ্রুপের বিরোধ চরমে পৌঁছায়।
গত বুধবার রাতে “মঙ্গলকান্দী সচেতন সমাজ” নামের একটি ফেসবুক আইড়ি থেকে দরদী গ্রুপের মঙ্গলকান্দি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মীর এমরানের ছবি ব্যাবহার করে তার নামে অশ্লীল স্ট্যাটাস পোষ্ট করা হয়। বিষয়টি দরদী গ্রুপের নেতাকর্মীদের নজরে আসলে তারা স্ট্যাটাসের জন্য বাদলকে দায়ী করে বৃহস্পতিবার বিকালে বাদল গ্রুপের যুবলীগ কর্মী পিয়াস ডাকবাংলা জিরো পয়েন্টে আসলে দরদি গ্রুপের ইউনিয়ন ছাত্রলগের যুগ্ন সম্পাদক মামুন তাকে স্ট্যাটাসের বিষয়ে জিঞ্জাসা করলে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এর কিছুক্ষন পর সন্ধ্যায় উভয় গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পরস্পরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় দরদী গ্রুপ পস্থী ও মঙ্গলকান্দি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মামুন এবং যুবলীগ কর্মী হোনা মিয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষরা।
পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে মঙ্গলকান্দি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। এক পর্যায়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিন ও সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খোকন আহতদের হাসপাতালে দেখতে যান। শেখ ফরিদ দরদীর অভিযোগের ব্যাপারে বাদলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, দরদীর উপর হামলা ও পিসি মিজানের হত্যার সাথে আমার কোন যোগসূত্র নেই। তার চাঁদাবাজি ও অত্যাচারে এলাকার জনসাধারন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। ভুক্তভোগিরা যদি কোন এ্যাকশন নেয় তার জন্যতো আমি দায়ী না।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন