র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান বলছেন, সোমবার রাতে আরজুকে আটক করার পর তাকে নিয়ে বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযানে গেলে বেড়িবাঁধের কাছে বাড়ুইবাড়ি এলাকায় গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে।
মো. রাজা নামের ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরকে হত্যার ঘটনায় তার বোন রেশমা বেগম যে মামলা করেছেন, তাতে আরজু ১ নম্বর আসামি বলে হাজারীবাগ থানার পরিদর্শক খন্দকার মোহাম্মদ আলী জানান।
আরজু হাজারীবাগ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। রোববার রাতে তার গণকটুলী লেইনের বাসা থেকে মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ চুরি হয়।
সেই চুরির জন্য আরজু সোমবার সকালে ওই এলাকার বাবুল মিয়ার ছোট ছেলে রাজাকে বাসায় ডেকে নিয়ে মারধর করেন বলে পরিবারের অভিযোগ।
বিকেলে মুমূর্ষু রাজাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজার বোন রেশমা বেগম রাতে আরজুকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের বিরুদ্ধে হাজারীবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলার এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে সোমবার রাতেই পুলিশ গ্রেপ্তার করে বলে পরিদর্শক খন্দকার মোহাম্মদ আলী জানান।
এদিকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাজারীবাগ পার্কের পানির পাম্পের কাছ থেকে আরজুকে আটক করা হয় বলে র্যাবের ভাষ্য।
র্যাব-২ এর অধিনায়ক লেফট্যনেন্ট কর্নেল মাসুদ রানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আরজুকে আটকের পর তাকে নিয়ে বাকি আসামিদের ধরতে অভিযানে নামেন র্যাব সদস্যরা।
“রাত সাড়ে ৩টার দিকে বেড়িবাঁধের বাড়ুইবাড়ি এলাকায় মান্নান প্রিন্সিপালের বাড়ির সামনে ওঁত পেতে থাকা আরজুর সহযোগীরা র্যাব সদস্যদের দেখে গুলি শুরু করে। আত্মরক্ষার জন্য র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়।
“এ সময় দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে আরজুর গায়ে গুলি লাগে। পরে তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।”
গুলিবিদ্ধ আরজুকে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে লেফট্যনেন্ট কর্নেল মাসুদ রানা জানান।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে র্যাব সদস্যরা দুটি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করেছে।
সুত্রঃ বিডিনিউজ২৪
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন