Ads (728x90)

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কক্সবাজারের চকোরিয়া-বদরখালী সড়কে নির্মিত বাটাখালী সেঁতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার ২০ আগস্ট সকাল ১১টায় সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে সেতু উদ্বোধন করেন।




 এ উপলক্ষে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সিং সভা আয়োজন করা হয়। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চকোরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাং ইলিয়াছ, জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন, জেলা পরিষদ প্রশাসক মোস্তাক আহম্মদ চৌধুরী, কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়ুয়া, জেলা পুলিশ সুপার ম্যামল কান্তি নাথ, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দি আহম্মদ সিআইপি, জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভানেত্রি কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম (এমএ) চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ সাহেদুল ইসলাম সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্টানের পদস্থ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার উদ্বোধনের পর সেতুটি খুলে দেয়ায় চকরিয়ার উপকূলীয় সাত ইউনিয়ন ও দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর সঙ্গে চকরিয়ার সড়ক যোগাযোগ শুরু হয়েছে। এলাকার হাজারো জনগণের যাতায়াতের দীর্ঘদিনের দূর্ভোগের অবসান হলো এবং উন্নয়নের আরো একদাফ এগিয়ে গেলো। এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় অধিবাসিরা।
পাশাপাশি ওই এলাকার উৎপাদিত মৎস্য, লবণ, পানসহ নানা কৃষিপণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করাও সহজ হবে। উন্মোচিত হয়েছে অর্থনৈতিক উন্নয়নের দ্বার।
স্থানীয়রা জানান, চকরিয়ার উপকূলীয় সাত ইউনিয়ন বদরখালী, পশ্চিম বড় ভেওলা, ঢেমুশিয়া, কোনাখালী, বিএমচর, সাহারবিল ও পূর্ববড় ভেওলার লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় মাতামুহুরী নদী পার হয়ে চাঁদের গাড়িতে করে মহেষখালীতে যাতায়াত করতেন। জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে এক সময় ওই নদীর ওপর একটি বেইলি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই ওই ব্রীজর অনেক অংশ নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি পাতাটন খুলে গিয়ে সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় গত বছরের মাঝামাঝি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চকরিয়ার বাটাখালী এলাকা পরিদর্শনে আসেন। তখন তিনি চকরিয়া ও মহেশখালীবাসীর দুঃখ, দুর্দশার কথা চিন্তা করে কক্সবাজার সড়ক এবং জনপথ বিভাগকে বাটাখালী এলাকায় মাতামুহুরী নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের নির্দেশ দেন। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সেতু নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করে। এরপর কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং চকরিয়া সড়ক উপবিভাগের তদারকিতে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর থেকে সেতুটির নির্মাণ কাজ পুনরায় শুরু হয়।


উদ্বোধিত সেতুটি ১৭০.৭২ মিটার লম্বা, ১০.৭৫ মিটার প্রস্থ, পাঁচ স্পেন ও চারটি পিলারসহ দুই পাশে দুটি অ্যাপার্টমেন্ট বিশিষ্ট পিসি গার্ডার। সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১০ কোটি ৮২ লাখ টাকা। কাঙ্খিত এই সেতুটি পুরো এলাকার যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি কৃষকের ভাগ্যোন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। কৃষক সহজে তাদের উৎপাদিত পণ্য উপজেলা সদরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যেতে পারবেন। তাছাড়া এতদিন ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত কৃষক এ সেতুর কারণে অনেকটা

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন