বাসররাতে নববধূকে ঘরে রেখে গভীর রাতে বাইরে বের হন বর। এরপর দীর্ঘক্ষণ আর ঘরে ফেরার লক্ষণ নেই। টের পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের লোকজন। অবশেষে বাড়ির একটু দূরেই বরকে খুঁজে পাওয়া যায়। তবে রক্তাক্ত অবস্থায়। বরের গোপনাঙ্গ ক্ষতবিক্ষত কাটাছেঁড়া।
পরিবারের সদস্যরা দ্রুত বরকে নিয়ে যান গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত
চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে রেফার করেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার দিনগত রাতে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে। বরের নাম বকুল (২৫)। তিনি গোপীনাথপুর গ্রামের জয়নাল উদ্দিনের ছেলে। আগের দিন শনিবার তার সঙ্গে পাশের গ্রাম পশ্চিমপাড়ার বাবুল মিয়ার মেয়ের বিয়ে হয়। স্থানীয় সূত্রমতে, রোববার ছিল নবদম্পতির বাসররাত। রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে নিজ ঘরেই অবস্থান করছিলেন বকুল ও তার নববিবাহিতা স্ত্রী। রাত দুটার দিকে হঠাৎ করেই নববধূকে ঘরে রেখে বকুল বাইরে বের হন। দীর্ঘক্ষণ কেটে গেলেও ঘরে না ফেরায় বিষয়টি নজরে পড়ে বাড়ির লোকজনের। পরিবারের সদস্যরা বকুলের খোঁজ করতে শুরু করে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বকুলকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তারা। এরপর তাকে সরাসরি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হয। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তার প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মমেক হাসপাতালে রেফার করেন। গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার সাখাওয়াত ইসলাম রাসেল বাংলামেইলকে বলেন, সোমবার ভোর ৩টার দিকে কিছু লোক বকুল মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসে। তার লিঙ্গের বেশির ভাগ অংশ কাটা ছিলো। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার মোর্শেদ বাংলামেইলকে বলেন, বাসররাতে লিঙ্গ কর্তনের বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। বকুলের এক চাচা বাংলামেইলকে বলেন, ‘কী কারণে কে বা কারা বকুলের লিঙ্গ কেটেছে তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সে সুস্থ হয়ে উঠলেই ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এ ব্যাপারে নববধূর সঙ্গে কথা বলেছে পরিবারের লোকজন। তবে নববধূও এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছেন না।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন