Ads (728x90)

প্রতিনিয়ত সামনে এগিয়ে যাওয়াই প্রযুক্তির লক্ষ্য। তাই প্রযুক্তিবিদেরা বর্তমানের ৪জি এলটিই এর গতি নিয়ে সন্তুষ্ট নন, তারা চান আরো পথ যেতে। এই আকাঙ্খা থেকেই হুয়েই এর নেটওয়ার্কিং বিভাগের প্রযুক্তি কারিগরেরা জাপানের ক্যারিয়ার এনটিটি ডুকোমোর সাথে মিলে ৫জি ওয়্যারলেস সার্ভিসের মাঠ পরীক্ষা করতে নেমেছেন। সম্প্রতি গবেষণাগারের সুনিয়ন্ত্রিত পরিবেশের বাইরে গিয়ে জাপানের উন্মুক্ত স্থানে তারা এই পরীক্ষাটি সম্পন্ন করেছেন। ৬ গিগাহার্টজের কম ব্যান্ড ব্যবহার করে একটি পরীক্ষায় গবেষণাদলটি ৩.৬ জিবিপিএস ডাটা স্পিড উঠাতে পেরেছেন। এতে ব্যবহৃত ব্যান্ড বাস্তব ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যাবে বলে এই পরীক্ষাটি একটি বিশেষ অর্জন বলে বিবেচনা করছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকগণ। এখানে বলা প্রয়োজন, নকিয়া এবং স্যামসাং-ও এরই মধ্যে ৫জি নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছে। তবে তাদের পরীক্ষায় ব্যবহৃত ব্যান্ড বাস্তব ক্ষেত্রে কার্যকর করতে হলে সম্পূর্ণ নতুন অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে।


মোবাইল ফোন নির্মাতাগণ খুব তাড়াতাড়ি ৫জি পেতে আগ্রহী। তারা ২০২০ মধ্যে এই প্রযুক্তি গ্রাহকদের হাতে তুলে দিতে চান। অবশ্য গত মাসে বিগ রেড এর প্রধান তথ্য ও প্রযুক্তি আর্কিটেট রজার গুরনানী ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ভেরিজন ২০১৭ এর মধ্যে এ প্রযুক্তি বাজারে আনতে সক্ষম হতে পারে।
অন্যদিকে এনটিটি ডুকোমো’র ভাইস-প্রেসিডেন্ট তাকেহিরো নাকামুরার ভাষ্য, "যেহেতু পৃথিবীতে এই প্রথমবারের মতো এতো বড় মাপের বহুমূখী-ব্যবহারের জন্যে পরিবেশ পরীক্ষায় সাফল্য পাওয়া গেল তাই এটি অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ ফলক। ২০২০ সালের মধ্যে ৫জি বাজারজাত করার জন্যে কাজ করে যাওয়া ইন্ড্রাস্ট্রির জন্যে এটি অনেক বড় উৎসাহের বিষয়। হুয়েই ও ডুকোমো উভয়েই প্রচন্ড পরিশ্রম করেছে। আমি নিজেও জাপানে হতে যাওয়া পরবর্তী পরীক্ষায় আরো বড় হৃদয়গ্রাহী ফলাফলের অপেক্ষায় আছি।”
“যৌথভাবে পরিচালিত এই মাঠ পরীক্ষা ২০১৮ এর আগে ৫জি এর উন্নয়ন সাধনের জন্যে হুয়েই এর অঙ্গীকার পূরণের লক্ষ্যে এক তাৎপর্যময় অগ্রগতি। এই ফলাফল প্রমাণ করছে যে, আমরা দ্রুত যেতে পারছি এবং সঠিক পথেই হাঁটছি। আমি নিশ্চিত আমরা এ পরীক্ষা থেকে যা শিখেছি তা আমাদের চলমান ৫জি গবেষণাকে আরো সৃজনশীল প্রযুক্তি সৃষ্টিতে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”- ড. ওয়েন টং, সিটিও, হুয়েই ওয়্যারলেস।
আইটিইউ-এর মতে ৫জি এর গতি ২০জিবিপিএস হওয়া উচিত। এখন একটি মুভি ডাউনলোড করতে বেশ কয়েক মিনিট সময় লেগে যায় কিন্তু ৫জি সঠিক ভাবে কাজ করলে একই কাজ করা যাবে চোখের পলকে।
ভেরিজন গত মাসে জানিয়েছে যে, তারা আগামী বছরেই ৫জি ব্যবহারের মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে চাইছে। এ লক্ষ্যে পৌঁছতে তারা ইতোমধ্যে অ্যালকাটেল-লুসেন্ট, সিসকো, এরিকসন, নকিয়া এবং কোয়ালকম এর সাথে কাজ শুরু করে দিয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন