রাজধানীর বাইরে থেকে চামড়া না আসায় দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি চামড়ার আড়ত পোস্তায় কমেছে চামড়া কেনাবেচার ব্যস্ততা। সব মিলিয়ে এবারে রাজধানীতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় চামড়া সংগ্রহের পরিমাণ কিছুটা কম বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
তবে সময়মত লবণজাত করতে না পারায় নষ্ট হয়েছে কিছু চামড়া। তবে, ট্যানারি মালিকরা বাড়তি দামে সংরক্ষিত চামড়া না কিনলে বড় ধরনের ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে বলে জানিয়েছেন আড়তদাররা।
নেই উচ্চস্বরের হাঁকডাক কিংবা শ্রমিকদের তুমুল ব্যস্ততা। গেল দু'দিনের চিত্র রোববার সকাল থেকেই একেবারে বদলে গেছে কাঁচা চামড়ার সবচেয়ে বড় আড়ত রাজধানীর পোস্তায়। ঈদের দিন থেকে শুরু করে শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে কাঁচা চামড়া আসে। কোরবানির তৃতীয় দিন স্থানীয়ভাবে যেসব পশু কোরবানি হয়েছে, সেসব চামড়া কেনার জন্যই পোস্তা এলাকায় রয়েছেন ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পোস্তায় আসা কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণের জন্য লবণজাতকরণের কাজ এরই মধ্যেই শেষ হয়েছে। এছাড়াও রোববার ঢাকার বাইরে থেকে চামড়ার কোনো ট্রাক বা বড় চালান আসবে না বলেও জানান ব্যবসায়ীরা। এদিকে, ট্যানারি মালিকরা বাড়তি দামে চামড়া না কিনলে লোকসানে পড়তে হতে পারে বলে আশঙ্কা আড়তদারদের।
রাজধানীতে ১২ লাখ পিস চামড়া সংগ্রহের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও দশ লাখেরও কিছু বেশি চামড়া সংগ্রহ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আর সারা দেশে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ চামড়া সংগ্রহ হবে বলেও জানালেন তারা। তবে গরম আবহাওয়া কিংবা সময়মত লবণ না দেয়ার কারণে কিছু চামড়া নষ্ট হয়েছে। তবে এর পরিমাণ অনেক কম বলেও দাবি তাদের।
এছাড়াও দেশের অন্যান্য জেলায় পাইকারদের কাছে যেসব চামড়া লবণজাত করে সংরক্ষিত রয়েছে তা পোস্তায় আসতে আরো সাত থেকে আট দিন সময় লাগবে বলেও জানান আড়তদাররা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন