পৃথিবীর অনেক দেশ এরইমধ্যে হাইব্রিড গাড়ি ব্যবহার শুরু করেছে। অনেকদিন ধরে বাংলাদেশেও রিকন্ডিশন্ড বা পুরনো হাইব্রিড গাড়ি আমদানি নিয়ে আলোচনা চলে আসছে। গেল বাজেটে রিকন্ডিশন্ড হাইব্রিড গাড়ি আমদানির অনুমতি দেয়ার আশ্বাসও দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। তবে শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, হাইব্রিড গাড়ি ব্যবহার করা হলে দেশে বছরে জ্বালানীখাতে সাশ্রয় হবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। দেশে বছরে জ্বালানী তেলের চাহিদা প্রায় ৫৫ লাখ মেট্রিক টন। আর
পুরোপুরি আমদানি নির্ভর এই জ্বালানীর প্রায় ৪৫ শতাংশই খরচ হয় পরিবহন খাতে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৩৬ হাজার ৫শ ৮৭ কোটি টাকার ৫৪ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানী তেল আমদানি হয় দেশে। এরমধ্যে পরিবহনে ব্যবহার হয় ১৬ হাজার ৪শ ৬৪ কোটি টাকার ২৪ লাখ ৬৮ হাজার মেট্রিক টন তেল। জ্বালানী তেলের ব্যয় কমাতে জাপানসহ বিভিন্ন দেশ এখন গুরুত্ব দিচ্ছে হাইব্রিড গাড়ি তৈরী আর বাজারজাতকরণে। শুধু তাই নয়, কোন কোন দেশ নির্দিষ্ট সংখ্যক হাইব্রিড গাড়ি আমদানি বাধ্যতামূলকও করেছে। তবে এক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে বাংলাদেশ। প্রতি লিটার জ্বালানীতে সাধারণ গাড়ি চলতে পারে সর্বোচ্চ ৮ কিলোমিটার। আর, হাইব্রিড গাড়ি চলে ২৮ থেকে ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত।আমদানিকারকরা বলছেন, রিকন্ডিশন্ড বা পুরনো হাইব্রিড গাড়ি আমদানি করা গেলে জ্বালানী ব্যয়ের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ সাশ্রয় সম্ভব হবে। দেশে এখন নতুন হাইব্রিড গাড়ি আমদানির সুযোগ থাকলেও উচ্চমূল্যের কারণে চাহিদা কম থাকায় আমদানি কিংবা বিক্রি হয় সামান্যই। তাই পুরনো হাইব্রিড গাড়ি আমদানির সিদ্ধান্ত চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন