Ads (728x90)

স্মার্টফোনের বাজারে শীর্ষে থাকলেও স্মার্টঘড়িতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি অ্যান্ড্রয়েড। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যানালিসের হিসাবমতে, গত বছরে বাজারে ছাড়া মোট ৪৬ লাখ পরিধেয় যন্ত্রের মধ্যে মাত্র ১৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ অ্যান্ড্রয়েডভিত্তিক স্মার্টওয়াচ তৈরি করেছে বিভিন্ন নির্মাতা। তবে গুগল দমে যাওয়ার পাত্র নয়। অ্যাপলের আইফোন ব্যবহারকারীরাও যেন অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টওয়াচ ব্যবহার করতে পারে, সে জন্য কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। স্যামসাং, মটোরোলা,
এলজিসহ বিভিন্ন নির্মাতার তৈরি স্মার্টওয়াচ এত দিন শুধু অ্যান্ড্রয়েডচালিত স্মার্টফোনেই কাজ করত। সর্বোচ্চ সংখ্যক হাতে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টওয়াচ শোভা পাক এটাই মনোবাঞ্ছা গুগলের, সেদিক থেকে এই পদক্ষেপ বেশ বিচক্ষণতার পরিচয় দেয়। কারণটাও বলছি। শুধু গত প্রান্তিকে ৪ কোটি ৭৫ লাখ আইফোন বিক্রি করেছে অ্যাপল। একই প্রান্তিকে অ্যাপল ওয়াচ বিক্রি হয়েছে প্রায় ৪০ লাখ। একরকম ধরে নেওয়া যায়, আইফোন ব্যবহারকারীরাই স্মার্টওয়াচ বেশি ব্যবহার করছেন। এই ব্যবহারকারীরা এখন থেকে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টওয়াচও ব্যবহার করতে পারবেন। স্মার্টওয়াচের জন্য অ্যান্ড্রয়েডের সংস্করণ ‘অ্যান্ড্রয়েড ওয়্যার’ ব্যবহারে অবশ্য কিছুটা সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হবেন আইফোন ব্যবহারকারীরা। যেমন, ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহারের কোনো সুযোগ থাকছে না অ্যাপল ব্যবহারকারীদের, সেলুলার নেটওয়ার্কই একমাত্র ভরসা। এ ছাড়া গুগল প্লে স্টোরের চার হাজার থার্ড-পার্টি অ্যান্ড্রয়েড ওয়্যার অ্যাপ আপাতত ব্যবহার করতেও পারবে না তারা। তবে আইফোনে দেখানো যেকোনো নোটিফিকেশন হুবহু স্মার্টওয়াচে পাওয়া যাবে। আরও কিছু বাধা অবশ্য আছে। শুধু নতুন অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টওয়াচেই এই সুবিধা পাওয়া যাবে, পূর্বের সংস্করণগুলোতে পাওয়া যাবে না। আইফোনটিও বেশি আগের হওয়া চলবে না, আইফোন ৫ এবং আইওএস ৮.২ বা পরবর্তী সংস্করণগুলোতে চলবে অ্যান্ড্রয়েড ওয়্যার। এসব ঘড়ির সুবিধা পেতে অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যান্ড্রয়েড ওয়্যার নামিয়ে নিতে হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন