Ads (728x90)

বাংলাদেশী কয়েকজন মেধাবী তরুণের হাত ধরে 2012 এর ডিসেম্বার মাসে চালু হয় বাংলাদেশের প্রথম সামাজিক যোগাযোগের সাইট ওসাইবার ডটকম,সময় পেরিয়ে কতটুকু পূর্ণতা পেয়েছে সাইটটি,
একই উদ্দেশ্যে গত 2012 এর ডিসেম্বার বাংলাদেশে চালু হয় সাইট ওসাইবার ডটকম। নানা সুবিধা রয়েছে সামাজিক যোগাযোগের ওসাইবার ডটকম ওয়েবসাইট। এতে যোগ দিয়ে সমমনা কিংবা একই পেশার মানুষ এক হয়ে গড়ে তুলছেন নিজস্ব নেটওয়ার্ক। পরস্পরকে সহযোগিতা করছেন, আড্ডা মারছেন। ‘ওসাইবার লাইভ চ্যাট’ সেবার মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে বার্তা ছবিও বিনিময় করছেন।

সাইটটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক বললেন, সাইটটি ফেইসবুক-টুইটার থেকে ভিন্ন। ফেইসবুকে শুধু বন্ধুদের মধ্যে বার্তা ও ছবি বিনিময় করা যায়। টুইটারে নিজের বার্তা তুলে ধরার পাশাপাশি অন্যের বার্তা অনুসরণ করা গেলেও ওসাইবারে সব বার্তা, ছবি, ভিডিও, ইভেন্ট সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া যায়। অর্থাৎ প্ল্যাটফর্মটিতে বিনিময় করা সব তথ্য সবাই দেখতে পারেন। তবে আপনি চাইলে সেটিংস পরিবর্তন করে নিতে পারেন। এতে করে আপনার টিউন যাদের দেখাতে চাইবেন শুধু তারাই দেখতে পারবে। আছে প্রাইভেট কথোকপোতনের সুজোগ, যা ব্যবহার কারি ছারা আর কেও জানবে না। আজ ব্যবহার কারির কেমন ফিলিংস তাও জানাতে পারেন ব্যবহারকারীরা। ব্যবহারকারীর লোকেসন ও পাঠাতে পারবে ব্যবহারকারী। আছে বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক আলোচনার সুযোগ। এসব আলোচনার ওপর লাইক/ডিসলাইক, টিউমেন্ট ও ফটোটিউমেন্ট করতে পারেন ব্যবহারকারীরা। আবার টিউন গুলো তাদের নিজের প্রফাইলেও শেয়ার করতে পারে ব্যবহারকারীরা। আরার ভাল না লাগলে বা অশ্লিল কিছু করলে রিপোর্টও করতে পারে ব্যবহারকারীরা। বিভিন্ন টিউন কতটুকু অন্যদের কাছে ভালো লেগেছে, তা জানা যায় এ লাইক/ডিসলাইক, টিউমেন্ট, শেয়ার কাউন্টের মাধ্যমে। ফেইসবুক-টুইটারের মত এক ব্যবহারকারী অন্য ব্যবহারকারীকে বিভিন্ন বার্তাও পাঠাতে পারবেন এখানে।
কী আছে
ওসাইবার সাইটে ঢুকলেই দেখা যাবে সবচেয়ে টপ মেম্বার। প্রতিনিয়ত সামনের সারিতে নিজেকে প্রদর্শনের জন্য রীতিমতো যুদ্ধ চলে এখানে। এখানে টিউনগুলোয় সরাসরি টিউমেন্ট বা শেয়ার করারও সুযোগ পাওয়া যায়।
‘ছবি’ বিভাগে আছে ছবিনির্ভর টিউন। বিনোদনভিত্তিক টিউনের জন্য আছে ‘ভিডিও’ বিভাগ। সংবাদ মিলবে ‘টেক্ট’ বিভাগে। আবার বিভিন্য বিষয় ভিত্তিক ইভেন্ট, গ্রুপ এবং ডেস্কও তৈরি করা যায়।
ব্যক্তিজীবনে ঘটে যাওয়া নানা মজার অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে জুড়ি নেই। অনেকটা শিক্ষাজীবনের পরীক্ষার খাতায় উত্তর দেওয়ার মতোই। আগ্রহীরা এখানে লেখা জমা দেন। আছে পরীক্ষার খাতা দেখার মতো অন্য ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে লাইক/ডিসলাইক, টিউমেন্ট ও শেয়ার পাওয়ার বিষয়ও।
বছর পেরিয়ে বছর
যাত্রা শুরুর মাত্র দুই বছরের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগের সাইটটির নিবন্ধিত ব্যবহারকারীর সংখ্যা বর্তমানে প্রায় 31 হাজার। তবে সবাই যে প্রতিদিন সাইটটিতে ঢুঁ মারেন, এমন নয়। এ ক্ষেত্রে নিয়মিত ব্যবহারকারীর সংখ্যা থাকে দিনে তিন হাজারের কাছাকাছি। তালিকায় প্রবাসী বাঙালিরাও আছেন। প্রকাশিত সব লেখার ভালো-মন্দ বিচারের ভারও কিন্তু ব্যবহারকারীদের হাতেই। কর্তৃপক্ষের এতে কোনো ভূমিকাই নেই। লেখা ভালো হলে জোটে লাইক। আর বেশি লাইক মানেই অন্য ব্যবহারকারীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছানোর সুযোগ। আর খারাফ হলে ডিসলাইক।
যুক্ত হতে চাইলে
নিবন্ধন করতে হবে। বিনা মূল্যেই মিলবে এ সুযোগ। oCYBER লিখে গুগলে সার্স দিন পেয়ে যাবেন লিংক।[নিতিমালা বিরধী বলে লিংক দিলাম না।]oCYBER সাইটের ওপরের দিকে থাকা ‘রেজিস্টার’ ট্যাবে ক্লিক করতে হবে। নাম, ঠিকানা ও ই-মেইলসহ বিভিন্ন তথ্য দিয়ে ‘ইউজার নেইম’ এবং ‘পাসওয়ার্ড’ দিতে হবে। এবার ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করলেই নিবন্ধিত ব্যবহারকারীর তালিকায় নিজেকে খুঁজে পাওয়া যাবে। সাইটের মূল পাতায় ফিরে এসে নিবন্ধন করা ‘ইউজার নেইম’ এবং ‘পাসওয়ার্ড’ দিলেই পুরো ওসাইবার ডটকমের সব সুবিধা ব্যবহারের সুযোগ মিলবে।
পরিচালনা পদ্ধতি
ফেইসবুক-টুইটারের আদলে সাইটটির প্রকাশিত কোনো লেখাতেই হস্তক্ষেপ করা হয় না। ব্যবহারকারীরাই সাইটটির মূল চালিকাশক্তি। তবে সাইটের নীতিমালাবিরোধী কোনো টিউন বা অবাঞ্ছিত ভাষার ব্যবহার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। প্রয়োজনে ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টও বাতিল করা হয়। আর এসব কারণে অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগের সাইটের মতো এখানে অশ্লীল বিষয়াদির কোনো স্থান নেই। তাই সাইটটিতে সময় কাটানো যায় স্বচ্ছন্দে।
oCYBER! Also Compatible on Android & iPhone
Welcome Image, oCYBER
পেছনের কারিগর
সাইটের সব কিছুই ব্যবহারকারীদের জন্য। তাঁরাই লেখা টিউন করেন, তাঁরাই নির্বাচন করেন সেরা মেম্বার। তবে ব্যবহারকারীদের নিরবচ্ছিন্নভাবে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ করে দিতে সাইটটিতে কাজ করছেন একদল দক্ষ জনবল। তাদের চেস্টতেই অনেক এগিয়েছে দেশীয়  সামাজিক যোগাযোগের সাইট ওসাইবার ডটকম  oCYBER!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন