Ads (728x90)

সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও:টানা বৃষ্টিতে চাহিদার তুলনায় আমদানি কম হওয়ায় কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও’র কাঁচা বাজারে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০-৩০ টাকা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যাপ্ত সবজি বাজারে আসছে না আর এ কারণেই দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। অধিকাংশ সবজিই বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৬০৭০ টাকা দরে। তবে স্থিতিশীল রয়েছে মাংসের দাম।বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজারে। বিশেষ করে কাঁচা বাজারে প্রভাব পড়ছে বেশি। অতি বৃষ্টির কারণে পরিবহণ ব্যয় কিছুটা বেড়েছে। আর এ অজুহাতকে কাজে লাগিয়ে কারণ ছাড়াই বিক্রেতারা বাড়াচ্ছে পণ্যের দাম
। গত কয়েকদিনে লাগামহীনভাবে বেড়েছে সকল ধরনের সবজির দাম। তবে কোনো কারণ ছাড়াই অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ডিমের দাম।ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে আমদানি কম, পরিবহণ খরচ বেশি। এই অবস্থা থাকলে আগামীতে নিত্যপণ্যের দাম আরো বাড়তে পারে। আর সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ, মিথ্যা অজুহাতে দাম বাড়িয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন।শুক্রবার ছুটির দিন ঈদগাঁও’র কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে পেঁয়াজ ৬৫ টাকা, পটল ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা এবং বেগুন ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর বয়লার মুরগীর ডিম বিক্রি হচ্ছে হালি প্রতি ৩৮-৪০ টাকা। দেশি মুরগির ডিম ৪৫-৫০ আর হাঁসের ডিমের হালি ৪৫-৫২ টাকা।কাঁচাবাজারে দামের বিষয়ে বৈরী আবহাওয়াকেই দুষছেন ব্যবসায়ীরা। বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী জলিল জানান, বৃষ্টির কারণে কাঁচাপণ্যের সরবরাহ কমে গেছে। ফলে বেশি দাম দিয়ে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পণ্য কিনে বিক্রি করতে হচ্ছে।এভাবে বৃষ্টি আরো কয়েকদিন চলতে থাকলে সবজির দাম আরও বাড়তে পারে বলেও আশংকা প্রকাশ করেন এ ব্যবসায়ী।পাইকারি ব্যবসায়ী সাইফুল জানান, বৃষ্টির কারণে অনেক সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে তাদের কাছ থেকে আমাদের বেশি দামে সবজি কিনতে হচ্ছে।ক্রেতাদের অভিযোগ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দুই তিন গুণ দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। আর বাড়তি টাকা গুণতে হচ্ছে আমাদের।পেঁয়াজের দামের বিষয়ে আড়তদার রশিদ বলেন, আসলে একটা পেঁয়াজ যদি বৃষ্টির পানিতে পঁচে যায় তবে বাকি পেঁয়াজ রাখা খুব অসুবিধা হয়ে পড়ে। এ কারণে বাজারে এর কিছুটা প্রভাব পড়ছে। এর সঙ্গে ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিকেও কারণ হিসেবে দাবি করেছেন তিনি।ডিমের দাম বাড়ার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টি ও ঠান্ডায় অনেক দেশি মুরগি মারাও যাচ্ছে, ডিম পাওয়া যাচ্ছে না।তিনি আরো বলেন, বাজারে মাছ, মাংস, ডাল ও শাকসবজির দাম বাড়ার কারণে ডিমের চাহিদা বেড়েছে। আর এ কারণে বাজারে ডিমের সংকট তৈরি হয়েছে।এদিকে ডিমের দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে বয়লার ও লেয়ার মুরগির মাংসের দাম। বাজারে বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়। লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকায়। তবে দেশি মুরগির দাম এখনো চড়া রয়েছে। ২৭০-২৮০ টাকার নিচে বাজারে দেশি মুরগি পাওয়া যাচ্ছে না।বাজারে পেয়াজের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৩/৪ টাকা। সবজিসহ নিত্য পণ্যের দাম দিন দিন বেড়েই চলছে, এমন অনুযোগ ক্রেতাদের। ঠিকমত বাজার মনিটরিং এর জোর তাগিদ দিয়েছেন তারা। তবে বিক্রেতাদের একই সাফাই । দাম বাড়ার জন্য দায়ী করলেন বৃষ্টি আর বন্যাকে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন