৫ম শ্রেণির স্কুলছাত্রী (১২) মা হওয়াকে ঘিরে এলাকায় হৈচৈ শুরু হয়েছে। তোলপাড় চলছে পাড়ামহল্লায়। কীভাবে মা হলো এ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। কে নবজাতকের জনক-এনিয়ে পুলিশ ও এলকাবাসী খোঁজ খবর নেতে মাঠে নেমেছেন। এদিকে নবজাতক ও তার মায়ের চিকিৎসা চলছে পুলিশী প্রহরায়।
এমন ঘটনা ঘটেছে কুড়িগ্রাম জেলার জেলার নাগেশ্বরী খামারহাসনাবাদ খেফনীটারী গ্রামে।
জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ৫ম শ্রেণির ওই ছাত্রী বুধবার রাতে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ছেলে সন্তান প্রসব করেছে। সন্তান প্রসবের পর ধর্ষকের হুমকিতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছে ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে মামলা করেছে স্কুলছাত্রীর বাবা।
বর্তমানে তাকে পুলিশী প্রহরায় ওই হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া নবজাতকসহ ভিক্টিমকে।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক নজরুল ইসলাম জানান, সদ্যভূমিষ্ঠ বাচ্চাটিকে হত্যা করা হবে— এমন হুমকি পেয়ে ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা নিরাপত্তার আবেদন করেন। তার আবেদনের পর পুলিশকে জানিয়ে হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
ওই স্কুলছাত্রীর বাবা জানান, জেলার নাগেশ্বরী খামারহাসনাবাদ খেফনীটারী গ্রামের মৃত্যু আবুবকর সিদ্দিকের ছেলে জাকিরুল ইসলাম (২০) তার মেয়েকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এতে সে অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়ে। তারা প্রথমে মনে করেছিলেন পেটে টিউমার হয়েছে। এ কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
‘ঢাকায় রিকশা চালাই। স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন, এই সুযোগে জাকিরুল আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে’- বলেও জানান ভিক্টিমের বাবা।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক নজরুল ইসলাম জানান, বুধবার অন্ত:সত্ত্বা মাকে হাসপাতালে আনা হয়। ওই সময় মা ও শিশুর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন ছিল। বয়স কম হওয়ায় মেয়েটির শারীরিক গঠন সন্তান প্রসবের উপযুক্ত ছিল না। ডাক্তার-নার্সদের দক্ষতায় তাদের বাঁচানো গেছে। তবে মায়ের শারীরিক অবস্থা এখনো নাজুক।
এ ব্যাপারে নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) খান মো. শাহ্রিয়ার বলেন, ওই ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার থানায় একটি মামলা করেছেন। এখনো আসামিকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে চেষ্টা অব্যাহত আছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন