এম.এ.মন্নান,কুতুবদিয়াঃ
কুতুবদিয়ায় নামমাত্র ঐষধে চলে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো। ফলে প্রতিদিন আগত অধিকাংশ রোগী-ই প্রয়োজনীয় ঔষধ না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে।উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ১১টি কমিউনিটি ক্লিনিকের দশা প্রায় একই।সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে,৩০ টি ঔষধের আইটেমে জরুরী এন্টিবায়োটিক মাত্র ৫টি। এর মধ্যে মাসে এমোক্সিসিলিন(শিশু) ড্রপ ১০ টি,ক্যাপসুল (২৫০ মি.গ্রাম)৫০০টি, কোট্রিম ট্যাবলেট(১২০ মি.গ্রাম) ৫০০টি,কোট্রিম ট্যাবলেট (৯৬০ মি.গ্রাম) ১০০টি, ক্যাপসুল ডক্সিসাইক্লিন(১০০ মি.গ্রাম) ১৫০টি। এ ছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় শিশুদের জন্য প্যারাসিটামল সিরাপ ২৪টি,সালবিউটামল সিরাপ ১২টি,হিস্টাসিন সিরাপ ১২টি।এ সব ঔষধ দু‘দিনের বেশী দেয়া হয়না।প্রতিটি ক্লিনিকে রোগ নির্ণয়ে সরবরাহকৃত ব্লাড সুগার,ইউরিন টেষ্ট স্ট্রীপ‘র মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে অনেক আগেই। মূল্যবান ডেঙ্গু জ্বর নির্নয়ে টেষ্টকীট চলতি আগস্টে সরবরাহ দেয়া হলেও এগুলোর মেয়াদ আছে মাত্র দু‘মাস। গত ১৭ আগষ্ট উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং আলী ফকির ডেইল কমিউনিটি ক্লিনিকে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,স্থানীয় পশ্চিম আলী ফকির ডেইল গ্রামের রোকন উদ্দিনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস(২৬) জ্বর নিয়ে,তার শিশু পুত্র আবির(১০ মাস) আমাশয়,ডায়রিয়ার সমস্যা নিয়ে আসেন।ক্লিনিকে জ্বরের কোন ঔষধ নেই। শিশুটির এন্টিবায়োটিক্স প্রয়োজন হলেও না থাকায় শুধুমাত্র একটি জিংক সিরাপ ও খাবার স্যালাইন দিয়ে বাকী ঔষধ নেই বলে দেয়া হয়।একই এলাকার নাদিয়া সুলতানা(৮) নামের একটি শিশু সর্দি-জ্বর নিয়ে এসেও ঔষধ না পেয়ে ফিরে যেতে হয় তাকে। ঐ ক্লিনিকের সেবাদানকারী কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডার আবুল হাসনাত বলেন,প্রতিদিন গড়ে ৩৫/৪০ জন রোগী আসে।প্রতিমাসের জন্য সরবরাহকৃত ঔষধে চাহিদার ২০ ভাগও দেয়া সম্ভব হয়না। মাসে খাবার স্যালাইন বরাদ্ধ ২০০ টি। প্রতিদিন একটি করে দিতে গেলেও অন্তত ২০টি খাবার স্যালাইন চাহিদা থাকে। শিশু,মাতৃস্বাস্থ্য,সাধারণ রোগী সহ গত জুলাই মাসে মোট ৮৩৭ জন এবং চলতি আগষ্ট মাসে ১৭ দিনে ৫৯১ জন রোগীর সেবা দিয়েছেন বলে জানান তিনি।উক্ত ক্লিনিকের গ্র“প কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য মাহবুবুল কালাম বলেন,রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে-সেতুলনায় সরকারি ঔষধ অতি নগন্য।সরকারি সরবরাহকৃত ঔষধের পরিমাণ বাড়াতে এবং বেসরকারি বা ব্যক্তি পযায়েও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ঔষধ প্রদানের আহবান জানান তিনি। উপজেলা পর্যায়ে ৩বার শ্রেষ্ট কৈয়ারবিল নজর আলী মাতবর পাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডার মোহাম্মদ রাসেল জানান,তার ক্লিনিকে গত জুলাই মাসে ৭৯০ জন,১৮ আগষ্ট পর্যন্ত ৬২০ জন রোগী সেবা নিয়েছে। রোগীর তুলনায় সরবরাহকৃত ঔষধ নগন্য। আমাশয় আক্রান্ত রোগী বিশেষ করে শিশুদের চিকিৎসায় মেট্টোনিডাজল সিরাপ সরবরাহ নেই।বর্তমানে আধুনিক চিকিৎসা সেবায় নামমাত্র এন্টিবায়োটিক দিয়ে সুচিকিৎসা দেয়া দূরহ ব্যাপার।আরো এন্টিবায়োটিক সংযোগ করা উচিৎ বলে তিনি মনে করেন।এ ছাড়া হেল্থ প্রোভাইডারদের বেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় সেবা প্রদানে অনিহাও বাড়ার কথা জানান তিনি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা.মোহাম্মদ সাহাবুদ্দীন বলেন,কমিউনিটি ক্লিনিকে রোগীর সংখ্যা বাড়লেও সরকারি ভাবে সরবরাহকৃত নির্দিষ্ট ঔষধ যা দিচ্ছে এর বেশী দেয়ার ব্যবস্থা নেই।
কুতুবদিয়ায় নামমাত্র ঐষধে চলে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো। ফলে প্রতিদিন আগত অধিকাংশ রোগী-ই প্রয়োজনীয় ঔষধ না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে।উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ১১টি কমিউনিটি ক্লিনিকের দশা প্রায় একই।সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে,৩০ টি ঔষধের আইটেমে জরুরী এন্টিবায়োটিক মাত্র ৫টি। এর মধ্যে মাসে এমোক্সিসিলিন(শিশু) ড্রপ ১০ টি,ক্যাপসুল (২৫০ মি.গ্রাম)৫০০টি, কোট্রিম ট্যাবলেট(১২০ মি.গ্রাম) ৫০০টি,কোট্রিম ট্যাবলেট (৯৬০ মি.গ্রাম) ১০০টি, ক্যাপসুল ডক্সিসাইক্লিন(১০০ মি.গ্রাম) ১৫০টি। এ ছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় শিশুদের জন্য প্যারাসিটামল সিরাপ ২৪টি,সালবিউটামল সিরাপ ১২টি,হিস্টাসিন সিরাপ ১২টি।এ সব ঔষধ দু‘দিনের বেশী দেয়া হয়না।প্রতিটি ক্লিনিকে রোগ নির্ণয়ে সরবরাহকৃত ব্লাড সুগার,ইউরিন টেষ্ট স্ট্রীপ‘র মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে অনেক আগেই। মূল্যবান ডেঙ্গু জ্বর নির্নয়ে টেষ্টকীট চলতি আগস্টে সরবরাহ দেয়া হলেও এগুলোর মেয়াদ আছে মাত্র দু‘মাস। গত ১৭ আগষ্ট উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং আলী ফকির ডেইল কমিউনিটি ক্লিনিকে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,স্থানীয় পশ্চিম আলী ফকির ডেইল গ্রামের রোকন উদ্দিনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস(২৬) জ্বর নিয়ে,তার শিশু পুত্র আবির(১০ মাস) আমাশয়,ডায়রিয়ার সমস্যা নিয়ে আসেন।ক্লিনিকে জ্বরের কোন ঔষধ নেই। শিশুটির এন্টিবায়োটিক্স প্রয়োজন হলেও না থাকায় শুধুমাত্র একটি জিংক সিরাপ ও খাবার স্যালাইন দিয়ে বাকী ঔষধ নেই বলে দেয়া হয়।একই এলাকার নাদিয়া সুলতানা(৮) নামের একটি শিশু সর্দি-জ্বর নিয়ে এসেও ঔষধ না পেয়ে ফিরে যেতে হয় তাকে। ঐ ক্লিনিকের সেবাদানকারী কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডার আবুল হাসনাত বলেন,প্রতিদিন গড়ে ৩৫/৪০ জন রোগী আসে।প্রতিমাসের জন্য সরবরাহকৃত ঔষধে চাহিদার ২০ ভাগও দেয়া সম্ভব হয়না। মাসে খাবার স্যালাইন বরাদ্ধ ২০০ টি। প্রতিদিন একটি করে দিতে গেলেও অন্তত ২০টি খাবার স্যালাইন চাহিদা থাকে। শিশু,মাতৃস্বাস্থ্য,সাধারণ রোগী সহ গত জুলাই মাসে মোট ৮৩৭ জন এবং চলতি আগষ্ট মাসে ১৭ দিনে ৫৯১ জন রোগীর সেবা দিয়েছেন বলে জানান তিনি।উক্ত ক্লিনিকের গ্র“প কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য মাহবুবুল কালাম বলেন,রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে-সেতুলনায় সরকারি ঔষধ অতি নগন্য।সরকারি সরবরাহকৃত ঔষধের পরিমাণ বাড়াতে এবং বেসরকারি বা ব্যক্তি পযায়েও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ঔষধ প্রদানের আহবান জানান তিনি। উপজেলা পর্যায়ে ৩বার শ্রেষ্ট কৈয়ারবিল নজর আলী মাতবর পাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডার মোহাম্মদ রাসেল জানান,তার ক্লিনিকে গত জুলাই মাসে ৭৯০ জন,১৮ আগষ্ট পর্যন্ত ৬২০ জন রোগী সেবা নিয়েছে। রোগীর তুলনায় সরবরাহকৃত ঔষধ নগন্য। আমাশয় আক্রান্ত রোগী বিশেষ করে শিশুদের চিকিৎসায় মেট্টোনিডাজল সিরাপ সরবরাহ নেই।বর্তমানে আধুনিক চিকিৎসা সেবায় নামমাত্র এন্টিবায়োটিক দিয়ে সুচিকিৎসা দেয়া দূরহ ব্যাপার।আরো এন্টিবায়োটিক সংযোগ করা উচিৎ বলে তিনি মনে করেন।এ ছাড়া হেল্থ প্রোভাইডারদের বেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় সেবা প্রদানে অনিহাও বাড়ার কথা জানান তিনি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা.মোহাম্মদ সাহাবুদ্দীন বলেন,কমিউনিটি ক্লিনিকে রোগীর সংখ্যা বাড়লেও সরকারি ভাবে সরবরাহকৃত নির্দিষ্ট ঔষধ যা দিচ্ছে এর বেশী দেয়ার ব্যবস্থা নেই।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন