Ads (728x90)


দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হলো ‘বাংলাদেশ ইন্টারনেট উইক-২০১৫’। শনিবার বিকেলে গণভবন থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে একযোগে সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে এই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি বলেন, আপনারা জানেন বিএনপি-জামাত জোট সরকার বিনা খরচে সাবমেরিন ক্যাবলের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কে বাংলাদেশকে যুক্ত করার সুযোগ হাতছাড়া করে। কারণ হিসেবে তারা বলেছিল এ সংযোগ নিলে বাংলাদেশের সকল তথ্য চুরি হয়ে যাবে। আসল কথা দেশে তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশ ঘটুক এটা তারা চায়নি।

প্রধানমন্ত্রী এর কারণ উল্লেখ করে বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি মানেই স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা। এখানে লুটপাটের সুযোগ নেই। আর বিএনপি জামাত সরকার ছিল লুটপাট, দূর্নীতি, সন্ত্রাস আর জঙ্গিবাদের সরকার। আমরা জোট সরকারের এক মন্ত্রীর মোবাইল কোম্পানির মনোপলি ব্যবসা ভেঙ্গে দেই। দেশে মোবাইল ফোনের সেবা উন্মুক্ত হয়। দেশে এখন মোবাইল সীম গ্রাহকের সংখ্যা ১২ কোটি ৬৮ লাখ।
এ সময় তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষকে ইন্টারনেটের আওতায় নিয়ে আসার জন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। BanglaGovNet I InfoSarker-2 প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা ইতোমধ্যেই দেশের সকল জেলা এবং প্রায় সকল উপজেলাকে উচ্চ গতির ফাইবার অপটিক ক্যাবলের আওতায় নিয়ে এসেছি। InfoSarker-3 প্রকল্পের মাধ্যমে ১ হাজার ২০০ ইউনিয়নকে ফাইবার অপটিক ক্যাবল সংযোগের আওতায় নিয়ে আসার কাজ চলছে।
শেখ হাসিনা বলেন, এছাড়া Establishing Digital Connectivity প্রকল্পের মাধ্যমে আরও ২ হাজার ২৫০টি ইউনিয়ন ফাইবার অপটিক ক্যাবলের আওতায় আসবে। ইতোমধ্যে বিটিসিএল ১ হাজার ইউনিয়নে ফাইবার অপটিক ক্যাবল সংযোগের কাজ করছে। আমার প্রত্যাশা এসকল কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা ২০১৭ সালের মধ্যেই সারাদেশের ৪ হাজার ৫০০ ইউনিয়নে দ্রুত গতির ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দিতে সক্ষম হব।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন