Ads (728x90)


মেডিকেল কলেজে গ্রুপ স্টাডির নামে ছাত্রদের কক্ষে ডেকে নিয়ে বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। এমন বেশ কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনায় শিক্ষার্থীরা অতিষ্ট হয়ে অবশেষে এক লম্পট ইন্টার্ন চিকিৎসককে জুতাপেটা করে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছে। তবে এনিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক কাটছে না। নোয়াখালীর আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের ঘটনা এটি।
জানা গেছে, ওই মেডিকেল কলেজে কোন ছাত্রাবাস না থাকায় ইন্টার্ন চিকিৎসক সাইদুর রহমান শামীম ও মেহেদী হাসান ওই কলেজের পঞ্চম তলার একটি কক্ষে থাকেন। আর ছাত্রীদের একটি একাডেমিক ভবনের ষষ্ঠ তলায় থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ সুযোগে সাইদুর ও মেহেদী পড়াশোনার কথা বলে প্রথম বর্ষসহ বিভিন্ন ব্যাচের ছাত্রীদের তাদের কক্ষে ডেকে আনেন। এদের মধ্যে অনেকেই ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তবে তাদের হুমকি-ধমকির কারণে বিষয়টি কাউকে জানায়নি ছাত্রীরা।
ছাত্রীদের অনেকেই ভয়ে মেডিকেল কলেজের ক্যাম্পাস ছেড়ে অন্য জায়গায় মেসে চলে গেছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে গত ৩ মে রাতে সাইদুর ও মেহেদী এক ছাত্রীকে তাদের কক্ষে ডেকে নিয়ে যায়। এসময় ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করতে চাইলে সে চিৎকার দেয়। পরে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা এসে মেহেদীকে আটক করেন। এসময় তাকে প্রথমে গণপিটুনি ও পরে জুতাপেটা করা হয়। এক পর্যায়ে তাকে জুতার মালা গলায় দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়া হয়। মেহেদী আব্দুল মালেক মেডিকেল কলেজের ছাত্র ও জননেতা নুরুল হক আধুনিক হাসপাতালে ইন্টার্ন করছেন বলে জানা গেছে।
তবে এব্যাপারে মেহেদীর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে অপর ধর্ষক সাইদুর পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।
মেডিকেল কলেজের প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে কেউ কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে ওই কলেজের এক ছাত্র ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম-কে বলেন, ছাত্রীদের কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানি বিষয়টি তিনি জানতেন। কলেজ প্রশাসনকে এব্যাপারে অভিযোগ দেয়া হলেও তারা কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এছাড়া ছাত্রীরা তাদের নিরাপত্তার ও মান সম্মানের কথা ভেবে বিষয়টি চেপে গেছে বলে জানা গেছে। সর্বশেষ এক ছাত্রীর সাহসী ভূমিকায় লম্পট দুই ছাত্রের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে।
তবে ওই ছাত্র দাবি করেন ওই মেডিকেল কলেজে আরো বেশ কয়েকজন লম্পট আছেন যারা ছাত্রীদের নানা প্রলোভন ও গ্রুপ স্টাডির কথা বলে সর্বনাশ করেছে। কিন্তু ভয়ে কেউ এসব বিষয়ে মুখ খুলছে না। কলেজ প্রশাসনও বিষয়টি নিয়ে উদাসীন বলে জানান তিনি।
শিক্ষার্থীরা দাবি করেন ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পৃথক ছাত্রাবাসের ব্যবস্থা না করলে যৌন হয়রানি ঠেকানো সম্ভব হবে না। তারা অবিলম্বে এ সমস্যার সমাধান দাবি করেছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন